সম্প্রতি এলিট ফোর্স, র্যাব এবং প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কোনো ভিত্তি বা গুরুত্ব নেই। এমন মন্তব্য করলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন এই নিষেধাজ্ঞা ভূ-রাজনৈতিক কৌশলেরই ফল। তবে দেশে কোনো বেআইনি হত্যাকাণ্ড হলে তার সুষ্ঠু বিচার ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চান আইনজীবী শাহদীন মালিক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক দুর্বলতাকেও দুষলেন তারা।
গত শুক্রবার হঠাৎ করেই পুলিশের এলিট ফোর্স, র্যাব ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদসহ সাবেক ৭ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় বিচার বহির্ভূত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞাকে ভূ-রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। পুলিশের সাবেক আইজিপি নিষেধাজ্ঞার কোনো ভিত্তি দেখছেন না বলেও জানান।
আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হলে তা তদন্ত করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
এদিকে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বললেন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সবক মানায় না।
তবে এক্ষেত্রে কূটনৈতিক ব্যার্থতাকেও দুষলেন বিশেষজ্ঞরা। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তদন্ত ও সুষ্ঠু সমাধানে এরইমধ্যে কাজ করছে সরকারের পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়। একইসাথে ম্যাগনিটস্কি আইনে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অপরাধ সংগঠন হয়নি এমন তথ্য উপস্থাপন, আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার ও ভবিষ্যতে অপরাধ সংগঠিত হবেনা এমন অঙ্গীকার করা হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।